বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post
সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি ঘোষণা

রংপুর বিভাগে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা 

রংপুর ব্যুরো 

রংপুর বিভাগে  জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা 

তিন দফা দাবিতে আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রংপুর বিভাগের পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্টিবিউটরস, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন। 

সোমবার (১৭ জুলাই) রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব টিটু। 

দাবি তিনটি হলো- জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীর ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করতে হবে, জ্বালানি তেল (ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন) বিক্রয়ের উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫ শতাংশ করতে হবে এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব টিটু বলেন, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা হরতাল, অবরোধ, জরুরি অবস্থা, অসহযোগ আন্দোলন ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্যাংকলরীর মাধ্যমে তেল পরিবহনপূর্বক নিরবিচ্ছিন্নভাবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে যোগাযোগ ও কৃষি উৎপাদনে দীর্ঘকাল যাবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। 

এছাড়া করোনাকালীন সময়ে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তেল সরবরাহ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখায় খাদ্য উৎপাদন উল্লেখ্যযোগ্য হারে বেড়েছিল। তিনি আরও বলেন, একমাত্র জ্বালানি তেল ক্রয় এবং বিক্রয় সরকার নির্ধারিত অভিন্ন মূল্যে হয়ে থাকে। 

জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর সরকার নির্ধারিত হারে কমিশন প্রদান করে থাকে। ফলে ফিলিং স্টেশনের আয় বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। জ্বালানি ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে জ্বালানি তেল ক্রয়পূর্বক সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করে স্বল্প কমিশন পেয়ে থাকে। 

ফলে জ্বালানি ব্যবসায়ীরা শতভাগ কমিশন এজেন্ট। তাই জ্বালানি তেল বিপণন কাজে নিয়োজিতদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে গেজেটের মাধ্যমে জ্বালানি ব্যবসায়ীদের অবস্থান/মর্যাদা কমিশন এজেন্ট ঘোঘণার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

এ ক্ষেত্রে দ্বৈত লাইসেন্সসহ বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানো সম্ভব। এটা হলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃক ফিলিং স্টেশন সংক্রান্ত এসআরও এককভাব জারির প্রবণতা হ্রাস পাবে। 

তিনি আরও বলেন, যেখানে অটোগ্যাস স্টেশন (এলপিজি) প্রতি লিটার ৪৬.৫০ টাকা করে বিক্রয় করে আট টাকা কমিশন পাচ্ছে, সেখানে প্রতি লিটার অকটেন ১৩০ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা ও ডিজেল ১০৯ টাকা বিক্রয় করে আমাদের কমিশন দেয়া হচ্ছে চার টাকা আর ৪৬.৫০ টাকা এক লিটার এলপিজি বিক্রয়ে ১৭ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয়। 

অন্যদিকে প্রতি লিটার অকটেন ১৩০ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা ও ডিজেল ১০৯ টাকা বিক্রয়ে ৩ শতাংশ কমিশন দেয়া হয় এবং যা দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় অবস্থান করছে। দীর্ঘদিনের পূঞ্জীভূত এ সমস্যা ও সংকটের আবর্ত হতে বের হয়ে আসার জন্য জ্বালানি তেলের মূল্যহ্রাস/বৃদ্ধির সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট স্থায়ী সমাধানের জন্য জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর ডিলার্স কমিশন ৭.৫ শতাংশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আজিজুল ইসলাম মিন্টু, দিনাজপুরের সভাপতি রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এটিএম হাবিবুর রহমান, বিভাগীয় দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ শহীদ শোভন, রংপুর মটর মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ। 

টিএইচ